রাজ্য লিড নিউজ

জেলায় জেলায় নির্দেশিকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিতর্ক চলছে। আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে হাইকোর্টেও। মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। ভোটের পাশাপাশি, গণনা ও ফলপ্রকাশের পরও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার দাবিতে শুক্রবার সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার রাজ্যে বাহিনীর জওয়ানরা পৌঁছনো মাত্রই বিতর্ক-অভিযোগ এড়াতে জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা চলবে না। ঠিকমতো ব্যবহার করতে হবে।

পঞ্চায়েত ভোটে ২০১৩ সালের মতো অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে। অর্থাৎ ৮২০ কোম্পানির বেশি সেন্ট্রাল ফোর্স নামাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২০১৩ সালে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে বলেছিলেন, পাঁচ দফার জন্য ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে। এই ৮২০ কোম্পানি এক লপ্তে লাগবে না। প্রতি দফায় কত বাহিনী লাগবে তা যোগ করে মোট ৮২০ কোম্পানি ফোর্স চেয়েছিলেন তিনি। প্রথম দফার ভোটের জন্য ১৫০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স চাওয়া হয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রথম দফাতেই ২৬০ কোম্পানি ফোর্স পাঠিয়ে দেয়। তার মধ্যে প্রথম দফায় ১৫০ কোম্পানি ফোর্স ব্যবহার করে বাকিদের রিজার্ভে রাখা হয়।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় যে ২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, তার বেশিরভাগটাই শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, হুগলির একাধিক জায়গায় তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন। রাতে আরও বাহিনী রাজ্যে পা রাখতেই কমিশনের তরফে জেলাশাসকদের নির্দেশিকা পাঠানো হল। তাতে স্পষ্ট নির্দেশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যেন ব্যবহার করা হয়। রুট মার্চ, এরিয়া ডমিনেশনের কাজ করানো হোক। কোনওভাবেই যাতে জওয়ানরা বসে না থাকেন, তা দেখতে হবে জেলাশাসকদেরই। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ায় আপাতত মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এরপর দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আসতে শুরু করেছে রাজ্যে।