নয়াদিল্লির হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে বিতর্কিত মানচিত্র পাশ করিয়ে নিল নেপাল। ভারতের তিনটে জায়গাকে নিজেদের অঞ্চল দেখিয়ে যে নতুন মানচিত্র নেপাল তৈরি করেছে, সেই সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেল নেপালের সংসদে। ফলে ভারত আর নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। চিন লাদাখ থেকে সেনা সরালেও কৌশলে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালকে সীমান্তে লেলিয়ে দিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কাশ্মীর সীমান্তে সমস্যা বজায় রেখে চলেছে পাকিস্তান। চিনকে অনেক কষ্টে সরানো গিয়েছে। তখনই তৎপর হয়ে উঠল নেপাল। এটা সম্পূর্ণ পূর্ব–পরিকল্পিত বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, চিনের ভরসায় পুকুর কেটেছে নেপাল। নেপালের ক্ষমতাসীন বামজোট এই বিলটি পেশ করার পর তাতে সমর্থন জানায় প্রধান বিরোধী দল নেপাল কংগ্রেস। ফলে বিলটি পাশ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় দুই–তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সহজেই জুটে যায়।
উল্লেখ্য, মে মাসে নতুন এই মানচিত্র সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করা হয়। সাধারণত এই ধরনের বিল পাশ করাতে এক মাস সময় লাগে। তবে নেপালি সংসদ অতি দ্রুত এই বিলটি পাশ করিয়ে নিল। এই মানচিত্রে ভারত–নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি এবং লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে আগেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, ‘কোনও প্রতিবেশী দেশের এই জাতীয় কৃত্রিম সম্প্রসারণ ভারত গ্রহণ করবে না। নেপাল এই বিষয়ে ভারতের ধারাবাহিক অবস্থান সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই অবহিত এবং আমরা নেপাল সরকারকে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অনুরোধ করেছি।’
পরিস্থিতি জটিল হতেই লিপুলেখ পাসে একটি সড়ক উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় নেপাল। নেপাল দাবি করে, এভাবে রাস্তা তৈরি করা ভারতের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বলেন, ‘ভারতের ভাইরাস চিন, আমেরিকা অথবা ইতালির থেকেও অনেক ভয়ঙ্কর।’