খেলাধুলা

‘‌আপনার অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই’‌

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কয়েক–মাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ হল। দু’‌সপ্তাহ আগেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনেছেন। এবার সরাসরি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। একুশে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলে ফেরার হিড়িক অব্যাহত। এই নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
চিঠিতে দীপেন্দু বিশ্বাস লিখলেন, ‘‌আপনার অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। বিজেপিতে যাওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমাকে যেন ক্ষমা করে ফের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’‌ তিনি আরও লেখেন, নির্বাচনের সময় আমি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আগে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক করে আপনি বসিরহাটের মানুষের সেবা করার যে সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন, আমি আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকব। আপনার অনুমতিস্বরূপ ক্ষমা প্রার্থনা করে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি মাননীয় সুব্রত বক্সী (দার) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে আপনার অনুগত সৈনিকরূপে আগামীদিনে উন্নত বাংলা গড়তে শামিল হতে চাই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। একুশের ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু, প্রার্থী হতে পারেননি তিনি। এরপরই কিছুদিন আগে নারদকাণ্ডে চার হেভিওয়েটের গ্রেপ্তারির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি ছাড়েন দীপেন্দু। তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, বাচ্চু হাঁসদারা।
একুশের ভোটে ঘাসফুল শিবির আর তাঁর উপর ভরসা করেনি। ফলে লড়াইয়ের সুযোগও দেয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ দীপেন্দু জার্সি বদলে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। গেরুয়া শিবিরও টিকিট দেয়নি তাঁকে। তবে তাঁকে দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই বিজেপি ছাড়েন দীপেন্দু। একুশের ভোটে ঐতিহাসিক জয়ের পর কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে দলবদলুদের দলে ফেরার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‌আসুক না। কে বারণ করেছে? এলে স্বাগত!’‌