প্রদীপের নীচে অন্ধকারটা আজ বড় বেশি প্রকট হয়ে উঠল। তাই প্রদীপ জ্বালিয়ে সহমর্মিতা দেখানোর পরিবর্তে অকাল দীপাবলিতে মেতে উঠল কলকাতা থেকে জেলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আবেদন করেননি দেশবাসীর কাছে। তিনি প্রদীপ, টর্চ, মোমবাতি জ্বালাতে বলেছিলেন। নিদেনপক্ষে মোবাইলের আলো জ্বেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে বলেছিলেন। সেইসঙ্গে তাঁর আহ্বান ছিল, করোনা–মুক্ত দেশ গড়ে তুলতে এই পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু কিসের আনন্দে সবাই মেতে উঠল?
আতসবাজির রোশনাইয়ে আকাশ–বাতাস মুখরিত হল। লকডাউনের বাজারে যেটুকু দূষণ কমেছিল তা একধাক্কায় বেড়ে গেল। বেশিরভাগের বাড়িতেই আলো নিভল না। জ্বলল না প্রদীপ কিংবা বাতি। উলটে রকেট, তারাবাজি, চকলেট বোমা এমনকী আকাশে ভেসে যেতে দেখা গেল ফানুসকে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল, তবে কী প্রধানমন্ত্রীর ক্যারিশমা কমে গেল?
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা–সহ হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগণা মেতে উঠল অকাল দীপাবলিতে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে দেখা গেল বাড়িতে বসে টিভি দেখতে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তখন মানুষের খাবার জোগাড় করতে ব্যস্ত। আর আলিমুদ্দিনে রবিবার অন্যদিনের তুলনায় বেশি আলো জ্বলল। ফলে রাজনৈতিক মহল বুঝিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কথা তাঁদের কাছে গুরুত্বহীন। যদিও আজই সকালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বলেছিলেন, ‘আও অর দিয়া জ্বালায়ে’। পরিবর্তে স্লোগান উঠল ‘ভুখা পেটে জ্বলে চিতা, বাতি আজ বিলাসিতা।’