রাজ্যসভার সাংসদ–পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। সঙ্গে সঙ্গে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপিতে যোগদানের। এই বিষয়ে দীনেশ ত্রিবেদী এদিন বলেন, ‘দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। আমার অন্তরাত্মার কথা শুনেছি। আর চুপ করে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না আমার পক্ষে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।’ যেভাবে অন্যরা দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছেন সেই একই রাস্তা ধরলেন দীনেশ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী জানান, দল ছাড়লেও তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। আমি রাজ্যসভার সাংসদপদ থেকে পদত্যাগ করছি। এই পদত্যাগের বিষয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘তিনি দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস করেছেন। অভিজ্ঞ রাজনীতিক। এখন তৃণমূল কংগ্রেসে কথা বলতে পারছেন না, কাজ করতে পারছেন না। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানাব।’ উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে অর্জুনের কাছে পরাজিত হন দীনেশ।
দীনেশের বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘উনি কোনওভাবেই দলকে বুঝতে দেননি যে পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। তাঁর অসন্তোষের কথাও জানাননি। গত রবিবারেও দিল্লিতে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখনও কিছু বলেননি। শুনেছি, দু’একজনের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু দলত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তেমনটা শুনিনি।’
উল্লেখ্য, একদিন আগেই নরেন্দ্র মোদীর একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তারপরই জল্পনা উস্কে উঠেছিল। দীনেশের অবশ্য দাবি, আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু রাজ্যে ঘটে চলা হিংসাত্মক কার্যকলাপ রুখতে কিছুই করতে পারছি না। আমার আত্মা বলছে, এখানে থেকে যদি কিছুই করতে না পারি, তাহলে এই পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।
