দেশ ব্রেকিং নিউজ

গুজরাট থেকে রাজ্যসভায় দীনেশ?

এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর দীনেশ ত্রিবেদী দল ও রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন। তাহলে তাঁর পরবর্তী অঙ্ক কী?‌ নিজে মুখে সে কথা না বললেও বিজেপির সঙ্গে তিনি গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী গুজরাট থেকে এবার রাজ্যসভায় যাবেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদী? এই প্রশ্নই এখন জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল৷ কারণ আজই গুজরাট থেকে রাজ্যসভার দুটি আসনে নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ সুতরাং আজই তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর৷
তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, দীনেশ ত্রিবেদী আগেও দলকে ফাঁকি দিয়েছেন। দলবদল ওর মজ্জায়।বারবার রাজনৈতিক মতাদর্শ বদলেছেন দীনেশ! দেখা যাক তাঁর রাজনৈতিক যাত্রাপথ—আটের দশকে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তবে বেশিদিন তিনি কংগ্রেসে থাকেননি। চলে যান জনতা দলে। সেখান থেকে ছেড়ে আসেন তৃণমূলে। নয়ের দশকের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। নয়াদিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ হয়েছিলেন তিনিই।
রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীনই নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন দীনেশ ত্রিবেদী৷ তৃণমূল ছাড়ার কথাও স্পষ্ট করে দেন তিনি৷ দীনেশ অভিযোগ করেন, বাংলায় হিংসা হওয়া সত্ত্বেও তিনি কিছু করতে পারছেন না৷ তাই তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে৷ অথচ ২০১১ সালের ১৩ জুলাই রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রেল বাজেট পেশ করেন তিনি। সেবার রেল বাজেটে সব ধরনের ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করেন তিনি। সেই রেল বাজেট নিয়ে দলেই চাপের মুখে পড়েন দীনেশ। তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই বাড়াবৃদ্ধির সুপারিশ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বাজেট পেশের ১৯ দিন পর রেলমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন দীনেশ ত্রিবেদী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর আসন থেকে অর্জুন সিংয়ের কাছে পরাজিত হন দীনেশ ত্রিবেদী৷ এরপর তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ পদে মনোনয়ন দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পরেও দীনেশকে ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল৷ ১৯৭৪ সালে স্নাতক হওয়ার পর এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন দীনেশ ত্রিবেদী। দুবছর একটি সংস্থার হয়ে শিকাগোয় কাজ করেছিলেন তিনি। এরপর দেশে ফিরে অন্য একটি সংস্থার হয়ে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে চাকরি ছেড়ে কলকাতায় নিজের সংস্থা খোলেন তিনি।