ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

জনসংযোগ কর্মসূচির জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূলের সংযোগ যাত্রাকে তুমুল কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

অভিষেকের এই গ্রাম যাত্রা কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির খোঁচা, “৪০ বছর বয়সে যুবরাজ জীবনে প্রথমবার গ্রামে যাবেন। অথচ উনি গ্রামেরই প্রতিনিধি। রাহুল গান্ধী ৫০ বছরে প্রথমবার গিয়েছেন আর যুবরাজ একটু আগে শুরু করছেন।”

উত্তরবঙ্গের জেলা থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। আগামী ২৫ ও ২৬ এপ্রিল কোচবিহারে সংযোগ যাত্রা করবেন অভিষেক। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। দিনহাটা, মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা তাঁর। এরপর ২৭, ২৮ এবং ২৯ এপ্রিল থাকবেন আলিপুরদুয়ারে। এভাবেই আগামী দু’মাস গোটা রাজ্যে চলবে সংযোগ যাত্রা।

দিলীপবাবুর কথায়, দুয়ারে সরকারে কর্মচারী নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আর দেওয়ার মতো টাকা নেই। দিদির দূত সব ভগ্নদূত হয়ে গিয়েছে। লোকে গাছে বেঁধে আটকে রাখছে। এই কর্মসূচির ফলাফল কী? চেষ্টা করছে মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখতে।” ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘দিদির দূতে’ জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে, তাঁদের সমস্যা সমাধান করাকেই পাখির চোখ করছে শাসকদল।

শুধু অভিষেক বা তৃণমূলের কর্মসূচি নয়, দিলীপ ঘোষ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেছেন। বুধবার তৃণমূল সভানেত্রী দাবি করেছিলেন, ২০২৪ এ মাত্র ২০০ আসনেই শেষ হবে বিজেপি। পালটা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কটাক্ষ, কার শাপে যেন গরু মরে না? ২০১৯-এও বলেছিলেন বিজেপি ফুস। ওঁরা নাকি ৪২এ ৪২ পাবে। পরিণামে ওঁর এক ডজন সিট কমে গেল। দিলীপবাবুর আরও সংযোজন, “সবাই জেনে গিয়েছে ব্যাপারটা। তাই মমতাকে আর কেউ ডাকে না। কারণ ওঁর দৃষ্টি পড়লেই সর্বনাশ।”