ফের দিলীপের তোপের মুখে অমর্ত্য সেন। যদিও নাম না করে অমর্ত্য সেনকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, দেশের মানুষের দুঃখ–কষ্টে যিনি নেই তাঁর কাছ থেকে কোনও নীতিকথা শোনা নয়। সম্প্রতি প্রতীচী নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তারপর অমর্ত্যের পাশে থাকার বার্তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অমর্ত্য সেন বলেছেন, লাভ জিহাদের মধ্যে জিহাদ থাকতে পারে না, ধর্মান্তরকরণ বিরোধী যে আইন বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে আছে, তা অসাংবিধানিক। আমি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ উনি তিনবার তিন ধর্মে বিয়ে করেছেন। তার তো বলার নৈতিক অধিকারই নেই। যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে, দেশের মানুষের দুঃখ–কষ্টে নেই তাঁদের নীতিকথা শুনতে আমরা প্রস্তুত নই।’ এই মন্তব্য এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে নিয়ে এখন বঙ্গ–রাজনীতি তোলপাড় বলা যায়। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বস্টন থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য বলেন, ‘এটা খুবই চিন্তার বিষয়। এটা মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। জীবনযাপনের অধিকার তো মৌলিক অধিকার হিসেব স্বীকৃত। তাই এই আইন অসাংবিধানিক।’ এই মন্তব্য করার পর তাকে কমব্যাট করতে নেমে দিলীপ ঘোষ যা বললেন তাতে আগুনে যেন ঘৃতাহুতি পড়ল।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া উচিত। এই আাইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা উচিত। ভারতের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেই। এমন আইন সংবিধানকেই অপমান করে।’ এই প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য, ‘উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই কথা বলছেন।’ যদিও অমর্ত্য–ইস্যুতে দিলীপ ঘোষের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সৌগত রায় বলেন, ‘অমর্ত্য সেনের গুরুত্ব বোঝা দিলীপ ঘোষের পক্ষে সম্ভব নয়।’