নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃতীয়বার তাঁর সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হ্যাট্রিক করেছে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচন মিটলেও ভোটের আমেজ পুরোপুরি কাটল না বঙ্গ রাজনীতিতে। পুনর্গণনা নিয়ে এবার শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে এবার আদালতে যাচ্ছে বিজেপি। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে দু’হাজারের কম ভোটে হেরেছে বিজেপি, সেই কেন্দ্রগুলিতে পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, পশ্চিম মেদিনীপুর–সহ বেশ কয়েকটি জেলায় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হলেও সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে খুব অল্প ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীরা হেরেছেন। এই দু’হাজারের কম ব্যবধানে হারা কেন্দ্রগুলিকে পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু তাতে আদালত কতটা সমর্থন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দু’হাআরের কম ভোটে হেরেছেন। তাহলে সেটারও পুনর্গণনা করতে হয়।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে বাংলা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে হ্যাটট্রিক করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেখানে কার্যত বিজেপির আস্ফালন মুখ থুবড়ে পড়েছে। একুশের নির্বাচনে ৭৭টি কেন্দ্রে পদ্ম ফুটেছে। বাংলায় বিজেপির এই ভরাডুবি ঘিরে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বয়ং অমিত শাহ। তাই বিকল্প পথে জয়ের রাজস্তা খুঁজছে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
নন্দীগ্রামে সামান্য ব্যবধানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে টানটান নাটক চলে। নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই খবর প্রথমে সামনে আসে। কিছুক্ষণ পরই জানা যায়, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন মমতা। এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, কারচুপি হয়েছে, আমরা কোর্টে যাব।