সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ফিল্মি কায়দায় বাড়ি থেকে ফিরহাদ হাকিমকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন সিবিআই অফিসারেরা। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক–সহ চার নেতাকে। তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমানে বহিরাগত বলে উস্কানি দিয়ে গিয়েছেন। যা থেকেই ভাষাগত বিদ্বেষের সূত্রপাত হয়েছে। ভারতবর্ষের সংবিধানের মৌলিক বিষয়সমূহের সার্বজনীন অবমাননা করে অপরাধমূলক কাজ করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বসবাসকারী বাঙালিরা একটি অজানা ও অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। যদি কোনও অপ্রিয় ঘটনা ঘটে তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিলীপ ঘোষের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে খেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা। আর তারপর ২ মে থেকে রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। লুঠপাট, ধর্ষণ, খুনের মতো ঘটনায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মমতা। জনসভায় গিয়ে লাঠি, হাতা, খুন্তি নিয়ে বাহিনীকে আক্রমণ করার বার্তা দিতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরই নিজাম প্যালেসে ছুটে যান মমতা। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।’
