ফের বিভাজনের রাজনীতি করলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নবান্ন অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ বিজেপি’র মিছিল থেকে জিটি রোডে ধরা পড়েছেন বলবিন্দর সিং। তাঁকে ধরতে গিয়ে পুলিশ পাগড়িতে টান দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও রিট্যুইট করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সমালোচনা করেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিং। এই ঘটনা কাম্য নয় উল্লেখ করে হরভজন মন্তব্য করেন, পুলিশের আরও সহানভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল। অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্য পুলিশ জানায়, হাওড়ার বিক্ষোভে শামিল হওয়া ওই শিখ ব্যক্তির পাগড়ি ধরে পুলিশ টানেনি। এই অভিযোগ অসত্য।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার সাংবাদিকদের বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বলবিন্দার সিংকে পুলিশ কেস দিয়েছে। একজন শিখ হওয়া সত্বেও তার পাগড়ি খুলে অসম্মান করেছে। নিগ্রহ করেছে। গোল টুপি মাথায় থাকলে এটা পারত না।’ এই মন্তব্য নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যেখানে আরএসএস প্রধান বলছেন, আমাদের সংবিধান বলে সংহতির কথা। সেখানে দিলীপের এই মন্তব্য বিতর্কে জন্ম দিল।
রাজ্য পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় পাগড়ি খুলে যায়। আমাদের অফিসাররা পাগড়ি খোলার চেষ্টা করেনি। কোনও গোষ্ঠীর ধর্মীয় আবেগে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। পুলিশ প্রতিটি ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের তাঁকে আগে পাগড়ি পরে নিতে বলা হয়।
দিলীপের কথায়, রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই চলছে। তৃণমূল যত খুশি কর্মসূচি করছে। শুধু বিজেপি করলেই বাধা আসছে। মহামারীর আবহে শারদোৎসব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।