আজ কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,ভবানীপুর প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাবে যে কোনো সময়। তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এতো সময় পেল প্রার্থী দিতে পারছে না। ওনারা তো দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। কি হলো আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। দু’মাস আগে থেকে প্রার্থী দিয়েছিল রেজাল্ট তো দেখে নিয়েছে। লড়াই করেন দৌড়াদৌড়ি করেন লোকসভাতেও আগে প্রার্থী দিয়েছিল তারপর ঝটকাটা কে খেলো। নির্বাচনটা তো মাঠে হয়।
তিনি জানান, ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন মানুষের মনে। নির্বাচন কমিশন যেহেতু স্বতন্ত্র সংগঠন করেছে তার জন্য যেটা ব্যবস্থা আছে আদালতে গিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক আছে কোর্ট বিচার করবে। সমস্তদিক গুলো আলোচনা হবে। সারা দেশে আর ৩১টা উপনির্বাচন অন্যান্য রাজ্য তারা এখন বলছে উপ নির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই।
তাঁর কটাক্ষ, করোনার মধ্যে যারা কর্পোরেশন ইলেকশন করাচ্ছেন না পরিস্থিতি ঠিক নেই বলে তারা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী রাখার জন্য এবং সেই গ্রাউন্ডেই নির্বাচন কমিশন বলেছেন মমতা ব্যানার্জির নির্বাচন করাবার জন্য নাহলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। যদি মমতা ব্যানার্জি হেরে যান তাহলে কি সংকট তৈরি হবে না। তাই স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্নগুলো মানুষ করবে নির্বাচন কমিশন এই ডিসিশন নিলেন কেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবার নোটিশ ইডির। অভিষেক জানিয়েছেন, এতো কুইক জানালে যাওয়া সম্ভব নয়। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, যারা ডেকেছেন আর যারা যাবেন সেটা তাদের ব্যাপার। এর আগেও বহু লোককে বহু জায়গায় যেতে হয়েছে জেরা করার জন্য কেউ কেউ ভুবনেশ্বর আবার কেউ শিলংয়ে সিবিআই ইডি যেখানে মনে করবে সেখানে ডাকবে।
ত্রিপুরায় সংবাদ মাধ্যমের ওপর আক্রমণ নিয়ে তাঁর মন্তব্য,জানি না কোন মিডিয়ার ওপর আক্রমণ হয়েছে। এখান থেকে নেতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এখান থেকে মিডিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখান লোক নিয়ে গিয়ে জয়েনিং করানো হচ্ছে। ওখানে উৎপাত করা হচ্ছে। আমার মনে হয় সেখানকার লোকজন এটা পছন্দ করছে না।