রাজ্য

দিলীপ রাজি, মুকুল অরাজি

ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির অন্দরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। বিক্ষোভ–ভাঙচুরে তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়ও। এই খবর ইতিমধ্যেই চাউর হয়ে গিয়েছে। এমনকী দলের শীর্ষ নেতারা তাই চান। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়কে প্রার্থী করার কথা ভাবছে। সেক্ষেত্রে দুই নেতার সঙ্গেই আলোচনা করবেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, দলের নির্দেশ মেনে প্রার্থী হতে আগ্রহী দিলীপ ঘোষ। কিন্তু মুকুল রায় এখনও প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক কোনও ইঙ্গিত দেননি। শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে প্রার্থী করার ব্যাপারে নিশ্চিত। মুকুল রায় ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেই তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। মুকুল রায় পেছন থেকে খেলতে অভ্যস্ত। তাই সামনে আসতে চাইছেন না। অর্থাৎ তিনি নির্বাচনে লড়াইয়ের পক্ষপাতী নন।
তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানে একাধিক সাংসদকেই বিধায়ক পদের টিকিট দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। বাবুল সুপ্রিয় প্রার্থী হচ্ছেন টালিগঞ্জে। চুঁচুড়ায় প্রার্থী হচ্ছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। নিশীথ প্রামাণিক প্রার্থী হয়েছেন দিনহাটায়। স্বপন দাশগুপ্তকে তারকেশ্বরের প্রার্থী করা হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই বাংলায় বিজেপির মুখ। একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে জোরদার টক্করে তাঁদের প্রত্যেককেই কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
যদিও একাধিক প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষও তৈরি হয়েছে বিজেপির কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে। যার জেরে টানা দু’‌দিন ধরে হেস্টিংসে বিজেপি দপ্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। দলের কর্মীদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে শীর্ষ নেতৃত্বও। মঙ্গলবারই রাজ্য নেতাদের দিল্লিতে তলব করা হয়। বুধবার দলীয় কর্মীদের অসন্তোষ প্রশমিত করতে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খোদ অমিত শাহ। সেখানে মুকুল রায় জানিয়ে দেবেন তিনি প্রার্থী হতে চান না। এখন দেখার তারপরেও কোনদিকে ঘোরে বল।