পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবে তাঁদের দীঘায় এসে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে হোটেলমালিকদের সংগঠন দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ হোটেল-লজের ঘর খালি পড়ে। তাই পর্যটক টানতে এক ধাপ এগিয়ে হোটেলের ঘরভাড়া কমাল দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। এক ধাক্কায় ২০ শতাংশ ভাড়া কমানো হয়েছে হোটেলের এসি, নন এসি ঘরগুলির। অনলাইন বা স্পট বুকিং, যে কোনও ক্ষেত্রেই এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
রাজ্যে করোনা বিধি অনেকটা শিথিল হওয়ার পর দীঘা সহ শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর প্রভৃতি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক সমাগম বাড়তে থাকে। কিন্তু লাগামছাড়া ভিড় বাড়ায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তখন জেলা প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করে জানায়, করোনার দুটি টিকার সার্টিফিকেট কিংবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে পর্যটকদের দীঘায় ঢুকতে হবে। এছাড়া এখানকার হোটেল-লজে থাকতে দেওয়া হবে না।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নিয়ম-নির্দেশিকা জারির পাশাপাশি হোটেল-লজগুলিতে অভিযানও শুরু হয়। এর ফলে হোটেল-লজে পর্যটক সমাগম দ্রুতহারে কমতে থাকে। পর্যটক সমাগম কমলে হোটেল ব্যবসা ব্যাপক মার খাবে বলে আশঙ্কা করেন হোটেলমালিকরা। হোটেলমালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এনিয়ে একাধিকবার বৈঠকে বসা হয় এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে দরবারও করা হয়। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, হোটেলমালিক সংগঠনই আগত পর্যটকদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। দীঘায় আসার আগে নয়, দীঘা এসেই করোনা পরীক্ষা করা যাবে।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘এমনিতেই হোটেল-লজে পর্যটকের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। আর্থিক মন্দার পরিস্থিতিতে পর্যটকরা যাতে বেশি সংখ্যায় বেড়াতে আসেন, সেজন্য ঘরভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগের তুলনায় অনেক কম দামে এখন হোটেলের ঘর পাওয়া যাবে। করোনা মহামারীর সময় পর্যটকদের দীঘামুখী করতেই এমন সিদ্ধান্ত।’