পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র দিঘা। সেই বিপর্যস্ত দিঘাকে ঢেলে সাজাতে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম চেয়ারম্যান রাজ্যের কোনও মুখ্যসচিব। এর আগে অনেকেই সামলেছেন দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব।
১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল, গত ৩০ বছরের বেশি সময়ে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ার সামলেছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা। তাঁদের মধ্যে মাত্র দু’জন উচ্চপদস্থ আমলা পান পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। একজন রাজ্যের প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন এবং অপরজন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শুক্রবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব দেওয়ার অব্যবহিত পরেই দিল্লি থেকে এসেছে চিঠি। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার বদলির নির্দেশ দিয়েছে ১৯৮৭ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সাল, দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তারপর কিছুদিনের জন্য সেই পদ সামলান জেলা শাসক মানবেন্দ্রনাথ রায়। তার পর ফের ওই পদের দায়িত্ব পান সূর্যকান্ত। আবার পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন জেলা পরিষদ তথা সুপরিচিত নেতা পুলীন বিহারী বাস্কে থেকে হরেকৃষ্ণ সামন্ত, একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বসেছেন দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারে। এঁদের মধ্যে দীর্ঘ সময় এই পদে ছিলেন মোট তিনজন। হরেকৃষ্ণ সামন্ত (১৯৯৬ থেকে ২০০২), প্রফেসর আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় (২০০২ থেকে ‘১০) এবং শিশির অধিকারী (২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত)।
আবার দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন নবনী দে, কে এন বেহরা প্রমুখ। শিশিরবাবুর পরে এই চেয়ারে বসেছেন তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত এখন মন্ত্রী অখিল গিরি। তবে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা হিসেবে প্রথম দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হন দেবাশিস সেন। ২০১৩ সালে রাজ্যের তৎকালীন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পান দিঘার উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। পর্ষদের এই সুদীর্ঘ ইতিহাসে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই প্রথম রাজ্যের কোনও মুখ্যসচিব এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
