আজব কাণ্ড ঘটল বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে একই ব্যক্তিকে দেওয়া হল দু’রকম ভ্যাকসিন। প্রথমটি কোভিশিল্ড, দ্বিতীয়টি কোভ্যাকসিন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব! একজন, দু’জন নয়। গুনে গুনে ২০ জন গ্রামবাসী পেয়েছেন এই পৃথক ভ্যাকসিন ডোজ। এই ঘটনায় যোগীর রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে কানপুর দেহাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫০ বছর বয়সি এক মহিলাকে কোভিড ভ্যাকসিনের পরপর দু’টি ডোজ দিয়েছিলেন এক নার্স। সেটিও ছিল ‘ভুল করে!’ রেশ কাটতে না কাটতে ফের শিরোনামে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। এবার ঘটনাস্থল সিদ্ধার্থ নগর গ্রাম। পৃথক ভ্যাকসিন ডোজের সত্যটা স্বীকার করে নিয়েছেন সিদ্ধার্থ নগরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, ‘কেন এমন হল, তার তদন্ত হবে।’ কিন্তু এত দায়সারা জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বরং এমন মারাত্মক দায়িত্বজ্ঞানহীন ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলেই তা জানাতে হবে দিল্লিকে।
এই বিষয়ে আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডাঃ সমীরণ পাণ্ডার প্রাথমিক অভিব্যক্তি, ‘মিলিয়র ডলার কোয়েশ্চেন! কী হবে, সত্যিই কেউ জানি না। কারণ এই ধরনের কোনও রিসার্চ ভারতে হয়নি।’ নয়াদিল্লি এইমসের সেন্টার ফর কমিউনিটি মেডিসিনের ডাঃ সঞ্জয় রাইয়ের মন্তব্য, ‘অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। তবে এখন ওই ব্যক্তিদের লক্ষ্য রাখাই একমাত্র পথ।’ এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক উদ্বিগ্ন।