নাগাড়ে বৃষ্টিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। রায়গড় জেলায় প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধস নেমে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এতজনের মৃত্যু জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আটকে পড়েছেন কমপক্ষে কয়েক হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
একটানা বৃষ্টি চলছে মহারাষ্ট্রে। যা বিগত ৪০ বছরেও কখনও হয়নি। ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকাগুলি। শোচনীয় অবস্থা একাধিক জেলায়। সেখানে জলের তোড়ে ধুয়ে গিয়েছে পথঘাট, যারফলে উদ্ধারকারী দলগুলিরও পৌঁছতে বেগ পেতে হচ্ছে। প্লাবিত এলাকাগুলিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আটকে পড়া বাসিন্দারা যেন ছাদের উপর বা উচু কোনও স্থানে আশ্রয় নেয়।
বৃহস্পতিবার রায়গড় জেলায় মোট তিনটি স্থানে ভূমিধস নেমেছে। এখনও পর্যন্ত একটি জায়গা থেকে ৩২ জনের দেহ ও অপর একটি জায়গা থেকে ৪টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জারি রয়েছে উদ্ধারকার্য, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জেনেছেন।
রত্নগিরির চিপলুন শহরে একটানা ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি চলায় জলস্তর ১২ ফিট বৃদ্ধি পেয়েছে। বশিষ্ট নদী থেকে জল উপচে পড়ে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর ডুবে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ও ফোনের সংযোগও। জলে ডুবে গিয়েছে জেলার কোভিড হাসপাতালও। প্লাবিত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকার্যের জন্য নৌসেনার সাতটি দল, ১২টি স্থানীয় উদ্ধীরকারী দল, উপকূলরক্ষী বাহিনীর দুটি দল ও এনডিআরএফের তিনটি দল নামানো হয়েছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।