অনুব্রতের মুখে এবার মমতা স্তুতি। নেত্রীর প্রশংসায় কার্যত পঞ্চমুখ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। মনে করা হচ্ছে, পার্থ ইস্যুতে তৃণমূল যতটা নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছে অনুব্রতের ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই ইতিবাচক। পুলিশি হেফাজতে থেকেও যা অনুব্রতের গোচর এড়ায়নি। তাই হয়ত নিজের স্টাইলে ফের অনুব্রত।
বুধবারই ছিল অনুব্রত মন্ডলের সিবিআই হেফাজতের শেষ দিন। আসানসোল আদালত বুধবার তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সিবিআই হেফাজত থেকে এবার সোজা জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা।
এদিন গরুপাচার তদন্ত মামলায় অনুব্রতকে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। এদিনও সেই প্রভাবশালী তত্ত্বেই খারিজ হয় অনুব্রতর জামিন। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অনুব্রতর আইনজীবী বিচারককে জানান, ‘অনুব্রত মণ্ডল শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেওয়া হোক। অনুব্রতর যেকোনও মুহূর্তে অক্সিজেন প্রয়োজন হতে পারে। জামিন পাওয়ার পর প্রয়োজনে তিনি বীরভূমে যাবেন না। নিজাম প্যালেসের আশেপাশে কোনও বাড়িতে থাকবেন।’
বুধবার আসানসোল আদালতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন দলের ভূমিকা এবং নেত্রীর ভূমিকা নিয়েও তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘দিদি আমার জন্য যা করেছেন, অনেক করেছেন।’
অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যেই অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। অনুব্রতকে কেন গ্রেফতার করা হল? এই নিয়ে সম্প্রতি একটি সভায় প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সেই মন্তব্যের পরই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। দলনেত্রী যে তাঁর জন্য অনেক করেছেন, সেকথাও এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন অনুব্রত।