অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলি কিন্তু করোনার ধাক্কায় অধিকাংশ পরিবারই আর্থিক অনটনে ভুগছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কুলের ফি আটকে গিয়েছে অনেক পড়ুয়াদের। ফি আটকে থাকলেও পড়ুয়াদের মার্কশিট আটকাতে পারবে না রাজ্যের বেসরকারি স্কুল। পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া থেকেও আটকানো যাবে না ওই পড়ুয়াদের। বুধবার এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চ একগুচ্ছ নির্দেশিকাও দেন বেসরকারি স্কুলগুলিকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুন। নির্দেশিকা রয়েছে,
ফি বকেয়া থাকলেও রাজ্যের ১৪৫টি বেসরকারি স্কুল কোনও পড়ুয়ার উত্তীর্ণ হওয়া বা তার মার্কশিট আটকাতে পারবে না।
সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
করোনা কালে কোন পড়ুয়া কত ফি দিয়েছেন তার হিসাব আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের দিতে হবে।
সব নথি খতিয়ে দেখে কোন পড়ুয়ার কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা নির্ধারণ করবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক।
আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক যে বকেয়া ফি নির্ধারণ করবেন তা দিতে হবে অভিভাবকদের।
যারা করোনা কালে কোনও ফি-ই দেননি তাদের নামও নথিবদ্ধ করবে আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা।
অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা।
অভিভাবকরা নতুন সেশনে কোনও ছাড় ছাড়াই বেতন দেবেন।করোনা কালের হিসেব অনুযায়ী যে বেতন দিয়েছেন তার স্টেটমেন্ট রাখতে হবে অভিভাবকদের। শেষ টাকা দেওয়ার প্রমাণ রাখতে হবে।