নন্দীগ্রামে ভোট পর্ব মিটলেও শান্তি, সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে তার জন্য কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানালেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। জেলাশাসক সুমিতা পাণ্ডেকে উপযুক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রাম নিয়ে বিশেষ নজর ছিল নির্বাচন কমিশনের। ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল ভোট। কিন্তু আগামী দিনে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাহত না হয় তার জন্যই কমিশনকে তাঁর এই চিঠি বলে জানিয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারী।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে দেওয়া চিঠিতে দিব্যেন্দু লিখেছেন, ‘নন্দীগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট পরিচালনা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু ওই এলাকার সাম্প্রতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে আশঙ্কা করছি যে, ওই এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। যার জেরে ওই এলাকার মানুষের সাধারণ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন ধ্বংস হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার রাজ্যের যে ৩০টি আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। ওই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দলবদলু নেতা শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের ভোটপ্রচারে মেরুকরণের তাসই বারবার খেলে গিয়েছেন শুভেন্দু। মমতাকে বারবার ‘বেগম’ বলে সম্বোধন করেছেন। ফলে ভোটের পর এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা যে খুব একটা অমূলক নয়, সেটা কিন্তু বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ভোট মিটলেও এই উত্তেজনা যাতে আগামীদিনে এই জনপদের মধ্যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেই ব্যপারেই কমিশনকে সতর্ক করে এই চিঠি শান্তিকুঞ্জের সেজো ছেলের। বিগত দিনগুলিতে একাধিক জায়গায় এমন অশান্তির খবর মিলেছে। কখনও বাদুড়িয়া, বসিরহাট। কখনও ধূলাগড়। কখনও ভাটপাড়া, ভদ্রেশ্বর। বাংলার একাধিক জনপদে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ দেখা গিয়েছে বহুবার। নন্দীগ্রামে যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে ব্যাপারেই আগাম চিঠি লিখে কমিশনকে জানালেন দিব্যেন্দু অধিকারী।
