আজ গান্ধীজির ১৫২তম জন্মদিন। এবার এই উপলক্ষ্যে ফের সংঘাত বেঁধে গেল রাজভবন–নবান্ন। মমতা প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করেই লিখেছেন, ‘বাপুর আদর্শই আমাদের একটি সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে অনুপ্রাণিত করবে। হিংসার বদলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।’ বারাকপুরে আজ গান্ধী স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পরে সাংবাদিকদের জগদীপ ধনকার জানান, রাজভবনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা হয়েছে।
এরপরই রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি জগদীপ ধনকারকে নৈ–রাজ্যপাল বলে কাটক্ষ করেছেন। এই মন্তব্য যখন তিনি করছেন, তখন ব্রাত্য বসুর থেকে ১০ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের এই টুইটের পর রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, রাজ্যে যে অশান্তির পরিবেশ রয়েছে, সেটাই কি পরোক্ষে জানালেন রাজ্যপাল? রাজ্যপাল এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী অহিংসা আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন, সকলে মিলে তাঁকে মর্যাদা দিতে হবে। নির্বাচনের আগে যেভাবে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে তা গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। এই রাজ্যে সরকার সংবিধানকে অবহেলা করছে। রাজ্যপালকেও অপমান করা হচ্ছে। আর রাজ্যপালকে অপমান করা মানে রাজভবনকে অপমান করা।’
