পদ্মাপারের জমিতেই বিপন্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তাঁর আদর্শ ও বাঙালি সত্বার মধ্যে বেঁচে আছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশে উগ্র ইসলামের উত্থানের সঙ্গে বিপন্ন হয়েছে তাঁর অস্তিত্ব। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এবার মুজিবের মূর্তি রক্ষায় আসরে নামতে হয়েছে আদালতকে। তার জন্য নির্দেশ দিতে হয়েছে শেখ হাসিনা প্রশাসনকে।
কুষ্টিয়ার শাপলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি মৌলবাদীরা ভেঙে দেওয়ার পরে দেশের সর্বত্র তাঁর যেসব মূর্তি ও মুরাল আছে, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসিনা সরকারকে নির্দেশ দিল ঢাকা হাইকোর্ট। মূর্তিগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, একমাস পরে ক্যাবিনেট সচিবকে সে বিষয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মুজিবের জন্মশতবর্ষে যেসব মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনা সরকার নিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে তা শেষ করার নির্দেশও দিয়েছে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি সাহেদ নূরউদ্দীনের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করার পক্ষে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। প্রতিটি জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক্ ইতিমধ্যে ৩৮০টি উপজেলা ও ৬৩টি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স স্থাপন করে কমপ্লেক্সের সামনে জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপন করেছে। রিটের পক্ষে আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রতীক। কুষ্টিয়ার বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার মতো জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে। অথচ সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ আছে, এগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’ মুরাল ও ভাস্কর্যগুলি রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্য পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট ডিসি ও এসপিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। তারপরই এই পদক্ষেপ করে হাইকোর্ট।