দেউচা-পাচামি খোলামুখ কয়লা খনি জট কাটাতে ম্যারাথন বৈঠক প্রশাসনের। পিডিসিএল-এর সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্য পুলিশের ডিআইজি৷ জমিদাতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানে আশাবাদী প্রশাসন, জানালেন বীরভূম জেলা শাসক।
আমেরিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খোলামুখ কয়লা খনি হতে চলেছে বীরভূমের দেউচা-পাচামি। কিন্তু, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে প্রায় ২১ হাজার মানুষের বসতি সরাতে হবে৷ যার মধ্যে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত। জমিদাতাদের জন্য চাকরি, জমির মূল্য, অন্যত্র বসতি স্থাপন সহ একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই কয়লা খনির জন্য ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু, অধিকাংশ মানুষজন কয়লা খনির জন্য জমি দিতে নারাজ।
তাদের স্পষ্ট দাবি, জল, মাটি, জমি ছাড়ব না। খনি ঘোষণার পর থেকেই দেউচা-পাচামিতে আন্দোলন চলছে৷ অনশনের ডাকও দিয়েছেন এলাকায় বাসিন্দারা৷
এদিন বোলপুর সার্কিট হাউসে দেউচা-পাচামি কয়লা খনির জমি জট কাটাতে ম্যারাথন বৈঠক করে প্রশাসন। ছিলেন পিডিসিএল-এর ডিরেক্টর পি.বি সেলিম, রাজ্য গ্রামন্নোয়ন পর্ষদের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্য পুলিশের ডিআইজি শ্যাম সিং, বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী প্রমুখ৷
বৈঠক শেষে বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “দেউচা-পাচামির মানুষজন আমাদের মা, ভাই, বোন৷ আমাদের পরিবার৷ তাই আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের পথ বেরবে৷ আলোচনায় সব সমস্যার সমাধান হয়, এক্ষেত্রেও তাই হবে।”