দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হল। এরমধ্যেই ফের নতুন করে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর হওয়া অফিস। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের।
বানভাসি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হু হু করে ঢুকছে নদীর জল। গত সপ্তাহের বৃষ্টিপাতের পর জল ছাড়া হয়েছে নদী বাঁধগুলি থেকে। তার জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশকিছু এলাকায়। মাটির বাড়ি তো বটেই, পাকা বাড়ির একতলাও জলের নিচে চলে গিয়েছে। রাস্তাঘাট-পুকুর-নদী সব একাকার। বহু এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনা জওয়ানরা উদ্ধারকাজে নেমেছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হুগলির খানাকুলে। মেদিনীপুরের ঘাটালের পরিস্থিতিও ভয়ানক। এর মধ্যেই জল বাড়ছে হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
এর মধ্যেই নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ। আলিপুর হওয়া অফিস জানিয়েছে, ফের উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। এই জোড়া ফলার প্রভাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বেশি বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী তিন জেলা, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। এর ফলে বানভাসি এলাকাগুলোতে আরও জল বাড়ার আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচ ও ত্রাণ দফতর সহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
You must be logged in to post a comment.