আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রবল বাধার মুখে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। পুলিশ হাথরাসে বাধা দেয় তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে। তখন চলে বচসা। সেখান থেকে ধস্তাধস্তি। অবশেষে একই কায়দায় ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হল তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে।
হাথরাসের ঘটনায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে একাধিক এলাকায়। ইন্ডিয়া গেটে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। হাথরাসে নেতাদেরও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। মিডিয়াকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামে ঢোকার মুখে বাধা দেওয়া হয়। ইন্ডিয়া গেটের সামনে জমায়েত যাতে না হয় তার জন্য সক্রিয় দিল্লি পুলিশ। এদিন উত্তরপ্রদেশে যান ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, মমতা ঠাকুর, প্রতিমা মন্ডল।
তৃণমূল প্রতিনিধিরা পুলিশকে জানান, তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁদের সমবেদনা জানাতে যাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও তাঁদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূল অভিযোগ করেছে, আমাদের হাতে কোনও অস্ত্রও ছিল না। তাহলে আমাদের কেন আটকানো হল? এটা কী ধরনের জঙ্গলরাজ যেখানে একটি নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে সাংসদদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ গায়ে হাত দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, হাথরসে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আজও প্রবেশ নিষেধ সেখানে। বৃহস্পতিবার হাথরাস পৌঁছনোর আগেই প্রিয়াঙ্কা–রাহুলের পথ আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গ্রেটার নয়ডায় ঢুকতেই কনভয়কে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ধ্বস্তাধস্তির সময় রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা যায়।
সংবাদসংস্থা এএনআই–এর একটি ২৯ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে, সাধারণ পোশাকের এক ব্যক্তি তৃণমূলের এক মহিলা সদস্যকে সরিয়ে দিতে গেলে সামনে এসে দাঁড়ান সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এরপর তাঁদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তখন ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় ডেরেককে। এই ঘটনার পরে রাস্তাতেই বসে পড়েন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। সেখানেই তাঁরা শুরু করেন ধর্না।
