করোনা আবহকে সঙ্গে নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সভা–সমাবেশ। কারণ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। যদিও এখনও তারিখ স্থির হয়নি। শুরু হয়েছে শাসক–বিরোধী তরজা। শীতের আবহে ক্রমশ চড়ছে নির্বাচনের উত্তাপ। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় আসছেন উপ–মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তথা কমিশনে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সুদীপ জৈন–সহ দুই কর্তা। আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসার কথা তাঁদের। আর তাতেই রাজ্য–রাজনীতির পারদ আরও বাড়ছে বলে খবর।
খবর অনুযায়ী, আগামী ১৭ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসতে পারেন তাঁরা। শনিবার পর্যন্ত বাংলায় থাকতেও পারেন। রাজ্যকে তিন ভাগে ভাগ করে ভোট প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখবেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কলকাতা–সহ জেলায় যাওয়ারও কথা শোনা গিয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা পুরসভার ভোট করে ফেলার কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রস্তুতি সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় জেলাশাসকদের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে জেলা প্রশাসনকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে সিইও দপ্তর। আগামী সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করারও কথা। কিন্তু বৈঠকের পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা। নির্বাচনের সময় যাতে পরিস্থিতি অনুকুল থাকে তার জন্যই এই সফর বলে খবর।
সম্প্রতি বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় তোলপাড় রাজনীতির ময়দান। আরও জোরালো হয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগ। ভোট চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের জেলা সফরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ঘটনা নতুন কিছুই নয়। তবে ভোটের প্রস্তুতি পর্বে কমিশনের কর্তাদের রাজ্য সফরে আসার কর্মসূচি যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
