রাজ্য ক্রমশ উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি। দক্ষিণ দমদম এলাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি। স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক বাড়ছে। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। শুধুমাত্র দক্ষিণ দমদমেই প্রায় ২০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
গত কয়েকদিনে বৃষ্টির জমা জলে বাড়ছে মশার লার্ভাও। গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। তার মধ্যে দক্ষিণ দমদমে এই মুহূর্তে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৩। দৈনিক গড়ে ১৫-২০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই পুরসভা সূত্রের খবর।
ডেঙ্গি নিয়ে ইতিমধ্যেই গাইডলাইন দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, রোগীর মধ্যে ডেঙ্গির উপসর্গ দেখলেই রক্তের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। কী কী টেস্ট করাতে হবে সেই পরামর্শও দিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, প্রচণ্ড শারীরিক দুর্বলতা, শরীরের নানা জায়গা থেকে রক্ত বের হওয়া, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া, পালস রেট বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপও কমে যাওয়া,টানা ২-৭ দিন জ্বর, তীব্র মাথা যন্ত্রণা, গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা হলে সেক্ষেত্রে অবিলম্বে ডেঙ্গি টেস্ট করাতে হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বরের প্রথম ৫ দিনের মধ্যে এনএস-১ এলাইজা টেস্ট করাতেই হবে। জ্বর যদি ৫ দিনের বেশি থাকে, তাহলে আইজিএম এলাইজা টেস্ট করতেই হবে। আর যদি রোগীর জ্বর আসার অন্য কোনও নিশ্চিত কারণ না থাকে, তাহলে সব জ্বরের রোগীকেই ম্যালেরিয়া টেস্ট করাতে হবে।