রাজ্যে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। নাইসেড-এর তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি-২-র প্রকোপ সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কেননা একইসঙ্গে ডেঙ্গির দুই প্রজাতি হানা দিয়েছে। অন্যদিকে কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তের করোনা রেকর্ড রয়েছে কিনা, স্বাস্থ্য ভবন তা খতিয়ে দেখছে।
আপাতত রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ কমানোই মূল লক্ষ্য সরকারের। রাজ্যে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৫ জেলায় খুব শীঘ্রই প্রতিনিধি পাঠাতে চলেছে স্বাস্থ্যভবন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর হুগলিতে ডেঙ্গির গ্রাফ সবচেয়ে বেশি। এখনও পর্যন্ত এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭২৪। কার্যত সেকারণেই এবার স্বাস্থ্য দফতর হুগলি জেলাকে রীতিমতো হটস্পট ঘোষণা করতে চলেছে। মূলত শ্রীরামপুর, ডানকুনি, ভদ্রেশ্বর, বৈদ্যবাটি, রিষড়া এলাকাকেই হটস্পট হিসেবে ধরছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।
কিছুদিন আগেই ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দফায় দফায় জেলাশাসককদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেসময় প্রতিটি পুরসভাকে ‘হেল্পলাইন’ চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। যাতে সাধারণ মানুষ কোনও এলাকায় জঞ্জাল ও জমা জল দেখলেই পুরসভাকে খবর দিয়ে পরিষ্কার করাতে পারে।
ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়, সরকারি কর্মসূচি নয়, ডেঙ্গি মোকাবিলাকে অভিযান হিসেবে দেখতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, জলপাইগুড়িতে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে উদ্বেগজনক।