রাজ্য লিড নিউজ

Dengue Death: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রসূতির

ক্রমশঃ উদ্বেগজনক হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। ফের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুরের নন্দন পার্ক এলাকার এক প্রসূতির। মৃত প্রসূতির নাম গুড়িয়া রজক।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার জ্বর, মাথা যন্ত্রণার উপসর্গ নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই মহিলাকে। এদিনই প্রসব যন্ত্রণাও শুরু হয় ওই মহিলার। সন্তান প্রসবের পরই ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপরই মৃত্যু হয় গুড়িয়া রজকের। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে ‘কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওর উইথ কমপ্লিকেটেড ডেঙ্গু’ উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলার জেলাশাসক, মুখ্যত স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজের সুপারদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত ওষুধের পাশাপাশি, আরও বেশি করে রক্ত পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় কেন ডেঙ্গু বাড়ছে সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যসচিব।

উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে উদ্বেগজনক। প্রশাসনকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে বলেই জানান মুখ্যসচিব। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাফাই অভিযান কতটা হচ্ছে? ঠিকমতো মানুষের কাছে প্রচার করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রতিটি ওয়ার্ডস্তরে মাইক্রো প্ল্যান করার নির্দেশও দেন তিনি। এমনকি আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ইতিমধ্যেই ফাঁকা জমি ও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ অবস্থায় থাকা বাড়িগুলিতে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিধাননগর পুরনিগমের তিনটি হাসপাতালে বেডের সংখ্যাও বাড়াতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে ফের একবার স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা ড্রোন উড়িয়ে খালগুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।