সাম্রাজ্য বিস্তার করছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। তবে এতসবের মধ্যেও সাময়িক স্বস্তি দিচ্ছে দেশের দৈনিক পরিসংখ্যান। চলতি বছর মার্চ মাস থেকে যে হারে বাড়তে শুরু করেছিল সংক্রমণ। কিন্তু লকডাউন ও কড়া বিধিনিষেধের জেরে ধীরে ধীরে মিলছে সুফল। ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৫০ হাজারের নিচে। নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসও।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকে আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ০১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৪৩। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১,১৮৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৯৩ জন।
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে হল ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৬৫ জন। সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। টিকাকরণে গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি আছে।
করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্য়ারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশবাসী। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে মোট ৪৮টি কেস। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী ধরা পড়েছে মহারাষ্ট্রে। তাই অগ্রিম সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু, রাজস্থান, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, গুজরাট এবং হরিয়ানাকে কনটেন্টমেন্ট জোন তৈরি করে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট রোখার উদ্যোগ নিতে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।