করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট এবার হানা দিয়েছে বাংলায়। মঙ্গলবার এই দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, রাজ্যের তিনজন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনার এই নতুন স্ট্রেইনে। দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ২০টিই সংক্রামিত হয়েছে এই নয়া ভাইরাসে। সবচেয়ে বেশি ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে।
মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, চণ্ডীগড় আসছে তারপর। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সন্ধ্যায় জানান, ‘এখনও কিছু জানি না। অফিসারদের খোঁজ নিতে বলেছি।’ রাজ্যের করোনা বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল বলেন, ‘ডেল্টা প্লাস এল মানেই তৃতীয় ঢেউও এসে গেল, এই ধারণা ভুল। দেখতে হবে ডেল্টা প্লাস আক্রান্তদের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা কেমন।’
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বর্তমানে দেশের ১১টি রাজ্যের ৪৪টি জেলায় করোনা পজিটিভিটির হার ১০-এর বেশি। এর মধ্যে কেরলের ছ’টি, উত্তর-পূর্ব ভারতের ছয় রাজ্যের ২৯টি জেলা, রাজস্থানের দু’টি, হিমাচল, পশ্চিমবঙ্গ ও পুদুচেরির একটি করে জেলা রয়েছে। তবে, ডেল্টা প্লাস উদ্বেগের মধ্যে এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের দ্বিতীয় সেন্টিনাল সার্ভে রিপোর্ট শুনিয়েছে আশার খবর। সাধারণ মানুষের (নন করোনা) মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার এবারও এক ছেড়ে দুইয়ের ঘরে ঢোকেনি। প্রথম রিপোর্টে গড় পজিটিভিটি ছিল ১.১ শতাংশ। এবার তা হয়েছে ১.৬৪ শতাংশ। আশার খবর হল, এই রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলায় ১৪টি জেলাতেই পজিটিভিটি একের নীচে (০.০ থেকে ০.৯৯ শতাংশ)। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় পজিটিভিটি শূন্য। পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়ে সংক্রমণ তিনের উপর।