কৃষক আন্দোলনের ২৭তম দিন। কৃষক আন্দোলন চরমে পৌঁছেছে। দিল্লির একাধিক সীমান্তে বসে রাস্তা অবরোধ করতে শুরু করল কৃষি আইন বিরোধী কৃষকরা। মঙ্গলবার দিল্লি–মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন তাঁরা। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় গাজিপুর–গাজিয়াবাদ সীমান্তে। বাধ্য হয়েই পুলিশকে অন্য পথে যানবাহন ঘুরিয়ে দিতে হয়।
দিল্লির অতিরিক্ত সিপি ট্রাফিক (আউটার রেঞ্জ) জানান, গাজিপুর সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। নিজামুদ্দিন, অক্ষরধাম এবং গাজিপুর চক অন্য পথে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি থেকে গাজিয়াবাদগামী যাত্রীদেরও দাবি, রাস্তা বন্ধ খুবই সমস্যা হচ্ছে। যে জন্য এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হয়েছিল সেই কাজ হচ্ছে না।
নতুন ৩ কৃষি আইন নিয়ে ফের কৃষকদের আলোচনায় ডেকেছে কেন্দ্র। আজ বৈঠকে বসছে কৃষক সংগঠনগুলি। গত রবিবার এই নিয়ে ৪০ কৃষক ইউনিয়নকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সেই চিঠির জবাবও তৈরি করতে পারেন কৃষক নেতারা।
উল্লেখ্য, গত চার সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রের তিন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার। এছাড়াও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ–রাজস্থানের কৃষকরা। এদের দাবি, নতুন আইনের ফলে মান্ডি পদ্ধতি উঠে যাবে। তাদের ফসলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও কেন্দ্র বারবারই বলছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বন্ধ করা হচ্ছে না।
তবে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়ে এবার মহারাষ্ট্র থেকেও আসছেন কৃষকরা। নেতৃত্ব দিচ্ছে কিষাণ সভা। সংগঠনের এক নেতা সংবাদমাধ্যমে জানান, মহারাষ্ট্রের ২১টি জেলা থেকে কৃষকরা আসছেন দিল্লিতে। রিলে অনশন শুরু হয়েছে। এখানে রয়েছেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার যোগেন্দ্র যাদবও।
