একটি মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছেলেরা ১৮ পেরিয়ে যাওয়া মানেই বাবার দায়িত্ব শেষ এমনটা নয়৷ পড়াশুনো ও অন্যান্য খরচের বোঝা কেবল মায়ের উপর পড়তে পারে না। একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে দিল্লির আদালত বলে যে, ছেলের ১৮ বছর হলেই বাবারা সরে আসতে পারবেন না। ছেলে স্নাতক স্তর শেষ করে কিছু রোজগার না করা পর্যন্ত ততদিন বাবাদেরও দায়িত্ব থাকবে।
এমনকী ওই মহিলাকে মাসিক ১৫ হাজার টাকাও দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
যাতে তার ছেলের পড়াশুনোর খরচ–সহ সামগ্রিক খরচ চালাতে পারেন মহিলা। আদালতের সাফ বক্তব্য, মায়ের একার হাতে সন্তানের খরচের বোঝা বহন করা অযৌক্তিক। স্বামীরা যদি কন্যার জন্য খরচ দিতে পারে তাহলে ছেলের ক্ষেত্রেও সেই আইন থাকবে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিচারপতি সুব্রহ্মণ্য প্রসাদ বলেন, ‘ছেলে ১৮ বছর পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু স্নাতক শেষ করেনি, চাকরিও পায়নি—এই অবস্থায় একজন মহিলাকেই ছেলের যাবতীয় খরচ টানতে হত৷ ফ্যামিলি কোর্ট এই ধারণার সঙ্গে একমত নয়৷ বাবারও কিছু দায়িত্ব থাকে। মহিলা যদি কর্মরতও হন তাহলেও মাসিক বেতন যথেষ্ট নয় ছেলেকে বড় করে তোলার জন্য।’