বাংলাদেশ

‘‌চিনের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সিদ্ধান্ত হয়নি’‌

এবার বাংলাদেশে চিনের করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিনের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেশে প্রয়োগ করা হবে কি না বা হলেও তা কবে নাগাদ হবে, সে বিষয়ে জাতীয় কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশে কিছুদিন আগে চিনের প্রতিনিধিদল আসে। তখন করোনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হয়েছিল। বাংলাদেশকে পাশে পেতে চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রথম ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
চিনের ঘোষণার পর থেকেই জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিনের উপর চোখ রাখছে। দেশের জন্য যা ভালো হবে সরকার সেই সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবে। চিনের সিনোভেক বায়োটেক কোম্পানির করোনা ভ্যাকসিনের (করোনাভেক) দুই ধাপ ট্রায়াল শেষ হয়েছে চিনে। বাজারজাত করার আগে মানবশরীরে চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা চালানো হবে। চিনে যে হেতু করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমে গিয়েছে তাই সিনোভেক চিনের বাইরে স্বেচ্ছাসেবক অনুসন্ধান করছে। তাই তারা বাংলাদেশকে বেছে নিতে চাইছে। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ট্রায়াল সমাপ্ত হলে এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করা হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কিছু ভ্যাকসিন নিখরচায় দেওয়া হবে। কিছু মিলবে স্বল্প মূল্যে। আর ভ্যাকসিন উৎপাদনের কারখানাও স্থাপন করা হবে বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, মানবদেহে পরীক্ষার জন্য সাতটি হাসপাতাল বাছাই করা হয়েছিল। সেগুলি হল— ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট–২, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিট–১, হোলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত–বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।