বাংলাদেশের নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ প্রায় ৬০ জন। তাঁদের খোঁজেই তল্লাশি চলছে। সোমবার সকাল থেকেই পঞ্চগড় এবং আশপাশের জেলার আটটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট উদ্ধার কাজ শুরু করছে।
রবিবার প্রায় ১৫০ জন মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাড়েয়া এলাকা থেকে বদ্বেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর জন্য যাত্রীসহ ডুবে যায় নৌকাটি। এদিনই ২৫ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। রাতের বাড়তেই আরও দশটি দেহ পাওয়া গিয়েছে। আওলিয়া ঘাট থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে দশজনের দেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, মর্মান্তিক এই ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায় নৌকাটি ঘাট থেকে কিছুদূর যাওয়ার পরই দুলতে শুরু করে। সেই সময় মাঝি নৌকাটি ঘাটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও করেন। কিন্তু মাঝ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। যদিও যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই সাঁতরে নদীর তীরে উঠে যান।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।