করোনার মারণ গ্রাসে আমেরিকায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। সংখ্যাটা ছাড়াল এক লক্ষ। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী আমেরিকায় এখন মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৭৬ জন। করোনার শক্তি লঘু হয়েছে ভেবে কড়াকড়ি শিথিল করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আর তাতেই দ্বিতীয়বারের জন্য মৃত্যুর নিরিখে চরম শিখরে পৌঁছে গেল দেশ।
মৃতের সংখ্যা এক লক্ষ যেদিন পেরিয়েছে সেদিনই মোট সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ১৯ লক্ষ ছুঁইছুঁই হয়েছে। পুরো বিশ্বে যত মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন তাঁর ৩০ শতাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সমস্ত ধরনের নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও করোনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সেদেশের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাঁরা প্রথম সারিতে রয়েছেন, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ৬২ হাজারেরও বেশি করোনা আক্রান্ত। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের রিপোর্ট অনুসারে, ২৯১ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
আমেরিকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তিনি এসব কিছুই মানতে চাননি। বরং চিন আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপরেই দায় ঠেলার দিকে বেশি জোর দেন তিনি। বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের দুই তৃতীয়াংশই রয়েছেন ইউরোপে। আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার আকাশেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আগেই। কিন্তু সেই সতর্কতা উপেক্ষা করে যে সব দেশ যত বেশি গা আলগা করেছিল, আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ততই। কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগে পদক্ষেপ নিলে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার কম হতে পারত।