শীতকালে খেজুরের গুড় খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর নলেন গুড় দিয়ে তৈরি নানা রকম মিষ্টি খাবার আমাদের সকলেরই কমবেশি খুব প্রিয়। শীতকালে সুস্বাদু এই গুড় শরীর উষ্ণও রাখে। দেখে নেওয়া যাক এই গুড় খাওয়ার উপকারিতা-
১) জ্বর ও ঋতুকালীন ফ্লু দূর করে। এই গুড়ের সঙ্গে আদা, তুলসী পাতা এবং অন্যান্য উপাদান যুক্ত করে গ্রহণ করলে গলা ব্যথা, মৌসুমী ফ্লু, সর্দি কাশি এবং জ্বর নিরাময় হতে পারে।
২) রক্ত শুদ্ধ করে। গুড় প্রাকৃতিকভাবে আয়রন, ফোলেট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর যা রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবারে গুড় যোগ করলে তা রক্ত পরিষ্কার করতে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও এটি প্রাকৃতিকভাবে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গুড়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ শরীরে শক্তি যোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে শরীর বেশ কিছু সাধারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। রিফাইন্ড চিনির মতো গুড়ের মধ্যে ক্যালোরি নেই। তাই মিষ্টি হিসেবে গুড় একটি ভালো বিকল্প কারণ এটি স্বাস্থ্যকে সমৃদ্ধকারী পুষ্টিগুণে ভরপুর।
৪) শীতকালে সর্দি কাশি, বুকে কফ জমা এবং পেট খারাপ খুব সাধারণ বিষয়। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে গুড় খেলে শ্বাসতন্ত্র, ফুসফুস, পাকস্থলী এবং খাদ্যনালী পরিষ্কার থাকে।
৫) হাড়ের ব্যথা কম করে। গুড়ের আশ্চর্যজনক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে। প্রতিদিন গুড়, ঘি এবং আদা খাওয়া জয়েন্টের ব্যথা নিরাময়ে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৬) শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি যোগায় কারণ এটি স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। এছাড়াও গুড় জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে ক্লান্তি এবং অন্যান্য দুর্বলতা রোধ করতে সাহায্য করে।