পর্যটকদের জন্য সুখবর। কারণ দার্জিলিং–কালিম্পঙের অর্থনীতি নির্ভর করে পর্যটনকে কেন্দ্র করে। করোনার কারণে গত মার্চ মাস থেকে পর্যটকশূন্য রয়েছে গোটা পাহাড়। ফলে পাহাড়ের অর্থনীতি শিকেয় উঠেছে। তাই করোনাকে সঙ্গে নিয়েই এবার পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি হচ্ছে পাহাড়। ফলে এখন থেকেই ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি পরিকল্পনা করতে শুরু করে দিয়েছে পুজোয় পাহাড়ে যাওয়ার।
জানা গিয়েছে, ১ জুলাই থেকে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) আওতাধীন সব হোটেল এবং হোম–স্টে খুলে দেওয়া হবে। দার্জিলিংয়ের হোটেল খোলা রয়েছে। কিন্তু দর্শনীয় স্থানগুলি এতদিন বন্ধ ছিল। ১ জুলাই থেকে তা খোলা হবে। ফলে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার সবরকম রসদ মজুত থাকছে। পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করে এই কথা জানিয়েছেন জিটিএ পর্যটন দপ্তরের সহকারী ডিরেক্টর সুরজ শর্মা। তাতেই এখন ফুরফুরে মেজাজ বইতে শুরু করেছে দার্জিলিংয়ে।
কী কী খোলা হচ্ছে? জানা গিয়েছে, ১ জুলাই থেকে দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল, রক গার্ডেন, গঙ্গা মাইয়া পার্ক, বাতাসিয়া লুপ খুলে দেওয়া হবে। কালিম্পঙের দেলো পার্কও খুলে দেওয়া হবে। তবে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা, হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট আর রোপওয়েও যাতে খুলে দেওয়া হয় ১ জুলাই থেকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবে জিটিএ। হোটেল আর হোম–স্টেগুলোর জন্য বিশেষ স্ট্যান্ডার্ড ওপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরি করা হবে। পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আপস করা হবে না। ট্যাক্সিগুলো তাদের যাত্রী ক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী নিতে পারবে বলে জানিয়েছে জিটিএ। পাহাড়ে ওঠার অন্তত চারটে জায়গায় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
