রাজ্য লিড নিউজ

রাজ্যে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারল না ‘ডানা’, স্বাভাবিক বিমান-ট্রেন পরিষেবা

‘ডানা’ মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল আগেই। প্রাণহানি আটকাতে আগে থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উপকূলবর্তী এলাকার কয়েক লাখ মানুষকে। মূলত দিঘা, তাজপুর, জুনপুট, সাগরদ্বীপ, বকখালি সহ বিভিন্ন এলাকার গ্রামগুলি পুরোপুরি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। অস্থায়ী ত্রাণশিবির এবং সাইক্লোন সেন্টারে রাখা হয়েছিল তাঁদের। বৃহস্পতিবার সারারাত নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁরা বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে ‘ডানা’-র গতিপথের দিকে নজর রাখেন।

বড়সড় প্রভাব না পড়লেও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃহস্পতিবার সারারাত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। এমনকি শুক্রবার সকাল থেকেও, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, দুই পরগনার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ প্রভাব কাটিয়ে বিমান পরিষেবা শুরু হল কলকাতা বিমানবন্দরে। নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগেই শুরু হল বিমান পরিষেবা। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে বুধবার জানানো হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। কিন্তু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে থেকেই বিমান পরিষেবা শুরু করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকেই বিমান পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে। এদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রথম বিমান ছাড়ে ইম্ফলের উদ্দেশ্যে। এবং কলকাতা বিমানবন্দরে প্রথম বিমান অবতরণ করে দিল্লি থেকে সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ। পাশাপাশি সকাল ১০ টা নাগাদ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়৷ প্রথম ট্রেনটি ছাড়ে সোনারপুর লোকাল৷