জেলা

বেহাল রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে

বেহাল রাস্তার প্রভাব এবার পুজোতেও। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে বড় ঠাকুর আনতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় প্রতিমার উচ্চতা কমিয়ে দেওয়া হল। পাশাপাশি কুমোরটুলি থেকে ঠাকুর আনা এবারের মতো বাতিল করল রাজপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।

ভারী বৃষ্টিতে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তার দফারফা অবস্থা। তার মধ্যে অন্যতম রাজপুর থেকে সোনারপুর স্টেশন যাওয়ার রাস্তা। জায়গায় জায়গায় খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। ইটের খোয়া ফেলে প্যাচওয়র্ক করা হলেও, তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে ভালোরকম ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

তার প্রভাবেই আগেকার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই পুজো কমিটি। সোনারপুর স্টেশন থেকে রাজপুর পর্যন্ত একাধিক পুজো হয়। তার মধ্যে রাজপুর সর্বজনীন সব থেকে জনপ্রিয়। যে ধরনের প্রতিমা আনা হতো এখানে, সেটা এবার আনা সম্ভব হয়নি বলে জানান উদ্যোক্তারা। তাই কুমোরটুলি বাদ দিয়ে এবার স্থানীয় শিল্পীর থেকে কম উচ্চতার ঠাকুর আনা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

রাস্তা এমন বেহাল দশা আরও বেশ কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে। পুজোর আগে যাতে সেসব মেরমত করা যায়, সেই নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবুও একাধিক পুজো উদ্যোক্তা রাস্তা খারাপ নিয়ে সরব হয়েছে। রাজপুর এলাকাতেই অলিগলিতে ভেঙেচুরে গিয়েছে রাস্তা। পুরসভা না পি ডব্লু ডি তা ঠিক করবে, এই টানাপোড়েন চলছে। ফলে বেহাল দশা পুজোর আগে কাটবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এক পুজো কমিটির কর্তা বলেন, পুরসভার উচিত ছিল বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা। সেটা না হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।