দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘ইয়াস’ গতিপথ পরিবর্তন করবে?‌

রবিবার কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’–এর যে গতিপথ জানিয়েছে তাতে বরাত জোরে রক্ষা পেয়ে যেতে পারে সুন্দরবন। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে। রবিবার দুপুরে আবহাওয়া দপ্তর প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে দিঘা থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ–পূর্ব এবং বালেশ্বর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ–পূর্বে অবস্থান করছে। রবিবার রাতের মধ্যেই এটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে। সোমবার সকালে বঙ্গোপসাগরে আরও কিছুটা উত্তর উত্তর–পশ্চিম দিকে সরে এসে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তখনই তার নাম হবে ‘ইয়াস।’
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বুধবার, ২৬ মে সকালের দিকে ‘ইয়াস’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পারাদ্বীপ থেকে সাগরদ্বীপের মধ্যে কোনও একটি অংশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আপাতত যে গতিপথ আবহাওয়া দপ্তর প্রকাশ করেছে, তাতে মনে হচ্ছে দিঘার কিছুটা পশ্চিম দিক থেকে ওড়িশার তালসারির কাছাকাছি এই ঝড় উপকূল পেরোতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের এই গতিপথের অনুমান যদি মিলে যায়, তা হলে বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যেতে পারে সুন্দরবন। দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলের থেকে বেশি। তাই ‘ইয়াস’ কিছুটা পূর্বে সরে এসে সাগরদ্বীপের কাছাকাছি অঞ্চল দিয়েও প্রবেশ করতে পারে। ২৪ মে, সোমবার বিকেল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় প্রভাব ফেলতে শুরু করবে ‘ইয়াস।’ ২৬ তারিখ বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া থাকতে পারে।
তবে এখনও পর্যন্ত যে গতিপথের কথা বলা হয়েছে, সেই অনুযায়ী ‘ইয়াস’ এগোলে কলকাতায় সাংঘাতিক ঝড়ের প্রভাব পড়বে না। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া থাকতে পারে। তবে পথ পরিবর্তন করে সাগরদ্বীপ দিয়ে প্রবেশ করলে কলকাতার দক্ষিণ এবং পশ্চিমাংশে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিবেগের ঝোড়ো হাওয়াও মিলতে পারে।