জেলা

জেলায় জেলায় আছড়ে পড়বে যশ

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা যে রয়েছে, গত ১৮ মে থেকে জানা গিয়েছিল। এবার কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরও জানিয়ে দিয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার গতিপথের ব্যাপারে প্রাথমিক একটি ধারণাও দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে। ২৬ থেকে ২৭ মে’‌র মধ্যে দিঘা বা ওড়িশা–বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব–মধ্য বঙ্গোপসাগরে ২২ মে নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই নিম্নচাপ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।
ওই নিম্নচাপটি তৈরি হওয়ার পর ক্রমশ উত্তর–পশ্চিম দিকে এগোতে এগোতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে যাবে। ২৬ মে নাগাদ সেটি পশ্চিমবঙ্গ-–ড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। এই পর্যন্ত পূর্বাভাস দিয়েই আপাতত থেমে গিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশ দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় ভূমিভাগে কাছে এগিয়ে এলেই মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে দুই রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টির পরিমান বাড়বে।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঝড়ের প্রভাবে ২৫ মে বিকেল থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হবে। যত সময় গড়াবে বৃষ্টির দাপট তত বাড়বে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং কলকাতায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সমস্ত জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হাওয়া বইবে। যার ফলে বিপর্যস্ত হবে জনজীবন।
ঘূর্ণিঝড় যদি তৈরি হয়, তা হলে নামকরণের তালিকা অনুযায়ী তার নাম হবে ‘ইয়াস।’ ওমানের দেওয়া এই নামের অর্থ হল হতাশা। কোনওভাবেই এই ঝড়ের নাম ‘যশ’ নয়। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, কোনও যদি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর–পশ্চিমে এগিয়ে আসবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এবং ২৬-২৭ মে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে।