বাংলাদেশ

বাংলাদেশে প্লাবিত উপকূলের জেলা

বুধবার বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার জেরে প্লাবিত দেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলি। অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল প্রবেশ করেছে। সুন্দরবনের দুবলার চর–সহ জেলেপল্লিগুলির বেশিরভাগ এলাকা এরই মধ্যে ডুবে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ওপার বাংলায়।
জানা গিয়েছে, নদীবন্দরগুলি থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলিতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এলাকার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলিতে জোয়ারের জল প্রবেশ করেছে। জেলায় দমকা বাতাস বইছে। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উপকূলের সকল নদ–নদীর জোয়ারের জল স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে জল প্রবেশ শুরু করে। বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মপুকুরের জল উন্নয়ন বোর্ডের ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৪৩টি পয়েন্টে ভয়াবহ ভাঙন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবাসীকে নিরাপদে স্থানে ও সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার দিনভর মাইকিং করা হয়। উপকূলবাসীকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য জেলার মোট ১৪৫টি সাইক্লোন সেল্টার, ১৫০০ স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।