ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর চোখ রাঙানি আটকাতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড়ের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে সুন্দরবন এলাকায়। এছাড়াও কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলাতেও এই ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা। এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৬২৯২২৩২৮৭০/৭১। সেখান থেকেই নজরদারি চালাচ্ছেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে যে এলাকাগুলিতে বেশি জল জমে, সেই এলাকাগুলিতে সিসিটিভি নজরদারির প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে শহরের নিচু এলাকাগুলিতে যাতে জল জমে না, তার জন্য ৫৭ টি পাম্প চালানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সাতটি পাম্প হাউস খোলা রাখা হবে বলেই জানা গিয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর, সোমবার পর্যন্ত দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রেও সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দামান সাগরের ওপর যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে সেটি গভীর নিম্নচাপ রূপেই আন্দামান সাগরের ওপর অবস্থান করছে। এটি প্রথম অবস্থায় উত্তর-পশ্চিম দিকে ২২ তারিখ নাগাদ গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে। ২৩ তারিখ নাগাদ এটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৪ তারিখ এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় রূপান্তরিত হবে। এরপর ২৫ তারিখ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি আছড়ে পড়বে।