ব্রেকিং নিউজ

ঝড়ের নাম কেন আমফান?‌

ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় আমফান ক্রমেই নিজের শক্তি বাড়িয়ে এখন তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশচন্দ্র দাস জানান যে, পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গ–বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে আগামী ২০ মে সন্ধ্যে নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়টি খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে প্রস্তুত যে ঝড়ের নামের তালিকা তৈরি হয়েছিল আমফান তার সর্বশেষ নাম। এই ঝড়ের নামটি প্রস্তাব করেছিল থাইল্যান্ড। আর এই আমফান ঘূর্ণিঝড়টি এখন ভারত–বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ৫টি কমিটি সারা বিশ্ব জুড়ে হওয়া সামুদ্রিক ঝড়ের নামকরণ করে। তাদের নামগুলিও ঝড়ের নামেই। এই কমিটিগুলোর নাম হল— (১) এস্কেপ টাইফুন কমিটি (২) এস্কেপ প্যানেল অফ ট্রপিকাল সাইক্লোন (৩) আরএ ১ ট্রপিকাল সাইক্লোন কমিটি (৪) আরএ–৪ (৫) আরএ–৫ ট্রপিকাল সাইক্লোন কমিটি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা শুরু করে। এরপর ২০০৪ সাল থেকে ভারতও ঝড়ের নামকরণ করা শুরু করে। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান এবং থাইল্যান্ডও ঝড়ের নামকরণের পথ বেছে নেয়। এই ৮টি দেশের প্রস্তাবিত নামগুলি দেশগুলোর নামের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী পরপর ক্রমতালিকায় সাজানো হয় এবং সেই অনুযায়ীই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়।
এবার এই আটটি দেশই বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাকে ঝড়ের নামের তালিকা দিয়েছে। এতে ভারত অগ্নি, বিদ্যুৎ, মেঘ, সাগর এবং আকাশের মতো নাম দিয়েছিল। এরপর পাকিস্তান দেয় নিলোফার, বুলবুল এবং তিতলি’‌র মতো নাম। এই নামগুলির মধ্যে থেকেই, ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিকাল অর্গানাইজেশন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। ভারতে যেমন ১০ বছরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের একই নাম ব্যবহার করা হয় না। এবারে থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম থেকেই নাম রাখা হয়েছে আমফান।