ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

কালীপুজোর দিন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সুন্দরবনবাসী

দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় সিতরং কালীপুজোর দিন আছড়ে পড়তে পারে বাংলায়। তার জন্য আগাম সর্তকতা ও প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম, মেডিকেল টিম সহ সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে রাজ্য প্রশাসন।

বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান হাসনাবাদ ব্লকের শাদিগাছি বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠানে এসে বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে আমফান, বুলবুল, ইয়াসের এর মত বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছি। এটাও আমরা ওভারকাম করবো। আমি নিজে বসিরহাট মহাকুমার সুন্দরবনের ব্লক হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, হাড়োয়া, মিনাখা, বসিরহাটের একাধিক নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছি। যাতে বড় বিপর্যয় না হয় তার জন্য ইতিমধ্যে সেচ দপ্তর সুন্দর বনের দুর্বল বাঁধগুলোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তার উপরে আমরা প্রস্তুতি এবং সতর্ক আছি, আর বাকিটা ওপর ওয়ালার উপরে ছেড়ে দিন। পাশাপাশি ইছামতি, রায়মঙ্গল, বিদ্যাধরী, কালিন্দী, ছোট কলাগাছি নদীর পাড়ের বাসিন্দারা নতুন করে আতঙ্কের প্রহর গুনছে। আবার কি হয় কি হয়। তাই চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। নতুন করে বড় বিপর্যয় হলে তাহলে আর রক্ষে নেই।যতবারই নিম্নচাপ বড় বড় বিপর্যয় হয়েছে পুরো টাই সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের জীবন জীবিকা ক্ষতি হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাধিক নদী বাঁধ।”

কালীপুজোর দিন বিপর্যয়ে কতটা প্রভাব পড়বে বাংলার উপর, তা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয় আবহাওয়া দপ্তরের কাছে। তবে সুন্দরবনবাসী জানাচ্ছেন, “বিগত দিনে একটার পর একটা বিপর্যয় আমাদের উপর আছড়ে পড়েছে, আমরা কোন রকমের বেঁচে আছি। আবার যদি বিগত দিনের মতো বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে আমাদের জীবনে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারব কিনা জানিনা। আমাদের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছি একদিকে বাসস্থান অন্যদিকে খাদ্য ও জমির ফসল পুকুরের মাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়ে আছি।”