দেশ ব্রেকিং নিউজ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। আরবসাগরের ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী রূপ নেবে। ১৭০-১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে। গোয়া, গুজরাতের মৎস্যজীবীদের ১৪ জুন পর্যন্ত আরব সাগরে না যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৯ থেকে ১১ জুনের মধ্যে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে, গোয়া থেকে কয়েকশ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব-মধ্য আরব সাগর থেকে ক্রমেই উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়।

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’ পূর্ব-মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে ঘনীভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় সেটি উত্তরের দিকে অগ্রসর হবে। ‘বিপর্যয়ের’ প্রভাবে দেশের পশ্চিম উপকূলে আবহাওয়া বিঘ্নিত হতে পারে৷ উত্তাল হবে সমুদ্র। আগামী ৩-৪ দিন সাগরের মধ্যে হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ১৩৫-১৪৫ কিলোমিটার থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।আইএমডি-র পূর্বাভাস, লাক্ষাদ্বীপ, কর্ণাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলগুলি ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হতে পারে। ১০, ১১ এবং ১২ জুন ৪৫-৫৫ কিলোমিটার থেকে ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে। সাইক্লোনের জেরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ গুজরাতে। এ বছর আরব সাগরে তৈরি হওয়া প্রথম ঘূর্ণিঝড় এটি। যদিও আরব সাগর সংলগ্ন বাকি দেশ ওমান, ইরান, পাকিস্তানে ঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছে মৌসম ভবন।ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে বর্ষাকে প্রভাবিত করতে পারে৷ ঘূর্ণিঝড় ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি একটি নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ উপদ্বীপে বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে দক্ষিণ উপদ্বীপে বর্ষার গতি বাড়তে পারে।