তাঁর হাত ধরেই ৩৬ বছরের শাপমুক্তি ঘটল। তাঁর হাত ধরেই ফের বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা। তাঁর হাত ধরেই স্বপ্নপূরণ হল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি নীল-সাদা জার্সির ভক্তদের। তিনি লিওনেল মেসি। যাঁর পায়ের জাদুর সাক্ষী থেকেছে রবিবার গোটা বিশ্ববাসী।
কাতারের বিশ্বকাপে সাফল্যের আলোয় উদ্ভাসিত এখন মেসি। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলের পরই ইতিহাসে নাম ঢুকে গেছে তার। প্রথম ফুটবলার হিসেবে এক আসরে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন।
তাতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে অনন্য এক অর্জনেও যুক্ত হয়েছে আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরের নাম। ১৯৬৬ সালে রেকর্ড টুকে রাখার সময় থেকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান এখন মেসির। এখন পর্যন্ত মোট অ্যাসিস্ট ৮টি। ১২ গোল আর অ্যাসিস্ট মিলে মোট ২০টি গোলে অবদান। এই রেকর্ড করে তিনি পেছনে ফেলেছেন মিরোস্লাভ ক্লোসা, রোনালদো ও জার্ড ম্যুলারকেও। বিশ্বকাপে ১২ গোল করে আবার পেলের সঙ্গে একই কাতারে অবস্থান করছেন। ৮ অ্যাসিস্টে মেসি স্পর্শ করেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাকেও।
ম্যাচ শেষে ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেন, ‘আমি জানতাম ঈশ্বর আমাকে বিশ্বকাপ দেবেন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তিনি শেষ পর্যন্ত আমাকে দিয়েছেন। এমন অর্জন সত্যিই ঈর্ষণীয়।’ যদিও ৩৬ বছরের শাপমুক্তি ঘটানোর পরে জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আধুনিক ফুটবলের রাজপুত্র।