কারি পাতা হল এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা, চুলের মূল থেকে এই জাতীয় সমস্যাগুলির চিকিৎসা করতে পারে। কারি পাতা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, বিটা ক্যারোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিন ইত্যাদি সমৃদ্ধ। তাই চুলের ক্ষেত্রে কারি পাতা ব্যবহারের একাধিক উপকারিতা রয়েছে।
নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কিছু কারি পাতা সূর্যের আলোতে শুকিয়ে গুঁড়ো করুন এবং এক টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে সেটি মেশান। চুলের গোড়ায় এবং চুলের শেষ প্রান্তেও পেস্টটি লাগান।
বর্তমানে চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, চুল পড়া বন্ধ করতে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কারি পাতা চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল পাতলা হওয়া রোধ করে। কিছু কারি পাতা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে এক-দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। পরে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
কারি পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি মাথার ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখে। এগুলি মাথার ত্বককে খুশকি এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। দইয়ের সাথে কারি পাতা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা চুলে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন।
কারি পাতা চুলের টনিকের জন্যও ভাল কাজ করে কারণ এটি মাথার ত্বককে ময়শ্চারাইজ এবং পুষ্ট রাখতে সহায়তা করে। এক মুঠো কারি পাতা নিন এবং এতে ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে প্যানে ফোটান। কিছুক্ষণের জন্য ফুটতে দিন এবং পরে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এটি মাথায় লাগান।
অল্প বয়সে চুলে পাক ধরা রোধ করে। অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে কারি পাতা ব্যাপক সাহায্য করে।