আবার সংবাদ শিরোনামে ভূস্বর্গ। জম্মু–কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার আর রাজ্যটিকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের বর্ষপূর্তি বুধবার। ফলে একদিকে যেমন সাজসাজ রব অন্যদিকে তেমন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকছে বলে খবর। তাই ওই দিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে কারণে সোমবার গভীর রাত থেকেই কার্ফু জারি করা হল গোটা উপত্যকা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করে শ্রীনগর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আর পাকিস্তান সমর্থিত কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন ৫ আগস্ট কালা দিবস পালন করার পরিকল্পনা করেছে। এই ৫ আগস্টই ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ বিলোপ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছিল। তা মেনে নেয়নি পাকিস্তান। যেখানে তাঁদের কোনও ব্যাপারই নেই। বরং একের পর এক জঙ্গি হামলা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিরাপত্তা দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েত করতে হয়েছিল। এখনও সেখানে বেশ কয়েক কোম্পানি সেনাবাহিনী রয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিক্ষোভ হবে না এমনটা বলা যায় না। তবে কয়েকটি জায়গায় হিংসাত্মক বিক্ষোভ হতে পারে বলেও গোয়েন্দা সূত্রে খবর রয়েছে। এমনকী জঙ্গি হামলাও হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে জরুরি পরিষেবায় যুক্ত ব্যক্তি আর স্বাস্থ্যকর্মীদের চলাচলে কোনও বাধা থাকবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।
উল্লেখ্য, গত বছর এমন সময়ে পুরো জম্মু–কাশ্মীর জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়। গ্রেপ্তার অথবা গৃহবন্দি করা হয় উপত্যকার প্রথমসারির রাজনীতিকদের। তখন জম্মু অঞ্চলেও কার্ফু জারি করা হলেও, কয়েকদিনের মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যদিও কাশ্মীর উপত্যকায় আরও মাস দুয়েক নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকে। এখনও অবশ্য কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উপত্যকায় ২জির বেশি স্পিডে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না বাসিন্দারা। তবে মেহবুবা মুফতি ছাড়া বেশিরভাগ রাজনীতিককেই বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
